Showing posts with label politics. Show all posts
Showing posts with label politics. Show all posts

Monday, January 6, 2025

গৃহযুদ্ধের ক্ষত শুকানোর আগেই পরমাণু আঘাত? প্রতিবেশী দেশে পরমাণু পরীক্ষা চালাল ইসরায়েলি সেনারা?

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

পশ্চিম এশিয়ায় পরমাণু হামলা? যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় এ বার ছড়াল তেজস্ক্রিয়তার আতঙ্ক। অভিযোগের তির উঠেছে ইহুদি সেনার দিকে। সত্যি সত্যিই তাঁরা পরমাণু হাতিয়ার ব্যবহার করে থাকলে ভূমধ্যসাগরের তীরের বিশাল এলাকা যে মৃতের স্তূপে পরিণত হবে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও এই বিষয়ে রা পর্যন্ত কাড়েনি ইহুদি দেশের সরকার বা ফৌজ।


Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিবেশী রাষ্ট্র সিরিয়ার বন্দর শহর তার্তাসে বড় রকমের বিমান হামলা চালায় ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। পাশাপাশি অনুভূত হয় ভূকম্পন। এর পরই জোরালো হতে শুরু করে ইহুদি ফৌজের পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের তত্ত্ব।

০৩

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশের দাবি, সিরিয়ায় আমেরিকার তৈরি ‘বি-৬১’ পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে আইডিএফ। যুদ্ধবিমান থেকে সেটি প্রতিবেশী দেশটির তার্তাসে নিক্ষেপ করে ইহুদি সেনা। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-৩৫ জেট ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

গত শতাব্দীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শুরু হয় ঠান্ডা লড়াই। ওই সময়ে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলছিল পরমাণু হাতিয়ার বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। সেখানে সোভিয়েতকে পিছনে ফেলতে ১৯৬৩ সালে ‘বি-৬১’ আণবিক বোমা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র।

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

আমেরিকার প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, ‘বি-৬১’ হল প্রকৃতপক্ষে থার্মোনিউক্লিয়ার গ্র্যাভিটি বোমা। কৌশলগত আণবিক হাতিয়ার হিসাবে এটিকে ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছিল। ১৯৬৮ সাল থেকে এর ব্যাপক উৎপাদন শুরু করে ওয়াশিংটন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও যুদ্ধেই ‘বি-৬১’ প্রয়োগ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

পেন্টাগন সূত্রে খবর, দ্বিস্তরীয় তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণের ক্ষমতা রয়েছে ‘বি-৬১’ পরমাণু বোমার। তবে এর বিকিরণ ক্ষমতা কম। এর মাধ্যমে গোটা একটা শহরকে চোখের নিমেষে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আণবিক বোমাটি ১৪১.৬ ইঞ্চি লম্বা। এর ব্যাস ৩৪ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৭১৫ পাউন্ড বা ৩১৫ কেজি।

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

সংবাদ সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার তার্তাসে আকাশপথে হামলা হতে না হতেই মাটি কাঁপতে শুরু করে। প্রায় ৮৪০ কিলোমিটার দূরে তুরস্কের ইজ়নিক শহরেও সেই কম্পন অনুভূত হয়। বদলে যায় হাওয়ার গতি। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা তিন ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

পশ্চিমি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, সিরিয়ার তার্তাসে পরমাণু হামলা চালায়নি আইডিএফ। বরং সেখানে আণবিক পরীক্ষা করেছে ইজ়রায়েল। তাঁদের আরও দাবি, পশ্চিম এশিয়ার ইহুদি দেশে দীর্ঘ দিন ধরেই পরমাণু হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে আমেরিকা। গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত প্রতিবেশীর উপর সেই অস্ত্র চালিয়ে শক্তি বুঝে নেওয়ার সুযোগ ছাড়েনি ইহুদি ফৌজ।

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

অন্য দিকে, এই যুক্তি মানতে নারাজ রাশিয়া। মস্কোর পাল্টা যুক্তি, আমেরিকার বোমা নিয়ে সিরিয়ায় পরমাণু পরীক্ষা চালানো ইজ়রায়েলের পক্ষে অসম্ভব। কারণ এই কাজের সবুজ সঙ্কেত কখনওই দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ত, এতে ইহুদি ভূমিতেও তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে তেল আভিভের পক্ষে এই ঝুঁকি নেওয়া আত্মহত্যার শামিল। তা ছাড়া পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।

Israel allegedly exploded small nuclear bomb in Syria know the radiation effect

রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকে লেখা হয়েছে, আইডিএফ নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সিরিয়ার যুদ্ধবিমানকে নিশানা করেছে। কিন্তু একে পরমাণু হামলা বলা যাবে না। তার্তাসে সিরিয়ার সরকারি সেনাবাহিনী প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলা-বারুদ মজুত রেখেছিল। সেই গুদাম উড়িয়েছে ইজ়রায়েল।


ইসরায়েল কেন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে

ইসরায়েল কেন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে

প্রথম আলো | আলি বাকির
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২০

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা খোলাখুলিভাবে কুর্দিদের ওয়াইচিজি-এর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার কথা বলেছেন।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা খোলাখুলিভাবে কুর্দিদের ওয়াইচিজি-এর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার কথা বলেছেন।

১০ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েল তার প্রতিবেশী দেশটির বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক বিমান হামলা শুরু করে। ‘বাশান অ্যারো’ নামে অভিহিত এই অভিযানে ইসরায়েলের ৩৫০টি যুদ্ধবিমান দামেস্ক থেকে তারতাস পর্যন্ত ৩২০টি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে।


বিমানঘাঁটি, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান, স্কাড মিসাইল ব্যাটারিজ, ড্রোন ব্যবস্থা, নৌজাহাজের রাডার সিস্টেম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এই হামলায় সিরিয়ার কৌশলগত সামরিক সম্পদের ৭০ শতাংশই ধ্বংস হয়েছে। ফলে সিরিয়ায় ভাগ হয়ে যাওয়া ও দেশটিতে বৈশ্বিক খেলোয়াড়দের প্রভাব বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


এই আক্রমণাত্মক অভিযান বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ইসরায়েল ও আসাদ সরকারের কৌশলগত বোঝাপড়ার পটভূমি থেকে এটাকে বিচার করা প্রয়োজন। আসাদের আমলে ইসরায়েল দখলকৃত গোলান মালভূমিতে তার স্বার্থ রক্ষা করে গেছে। সম্পর্ক থাকলেও ইসরায়েল আসাদকে একজন সমস্যাজনক প্রতিবেশী হিসাবে দেখত।

গোলান মালভূমিতে অর্ধশতাব্দীকাল ধরে শান্তি বিরাজ করছিল। আসাদের পতনের পর ইসরায়েল চায় যে তার উত্তরসূরি শাসক, বিদ্রোহী জোট অথবা বিদেশি কেউ যেন ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে।


আসাদের পতনের পর সিরিয়ার লোকেরা এখন নিজেদের দেশ পুনর্গঠনের জন্য প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের আক্রমণ তাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ একটা বাঁকবদল হতে পারে।

সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মাত্রা ও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু দেখে কয়েকটি প্রশ্ন সামনে চলে আসে। এই হামলার পেছনে ইসরায়েলের উদ্দেশ্য কী? সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার ওপর এর কী প্রভাব পড়বে।


অনেক বিশ্লেষক মনে করের, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ইরাক ও লিবিয়ায় আক্রমণের পর দেশ দুটিতে যে রকম বিভাজন সৃষ্টি হয়েছিল, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। সিরিয়ার গোলান মালভূমির অংশ ইসরায়েল দখলে নেওয়ায় এই অনিশ্চয়তা বেড়েছে।


কৌশলগত ও প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ গোলান মালভূমির অংশ ইসরায়েল নিজেদের দখলে নেওয়ার পর জাতিসংঘ সেটাকে অবৈধ পদক্ষেপ বলেছিল। আসাদের পতনের পর ইসরায়েল গোলানের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে। এমনকি জাতিসংঘের তদারকিতে থাকা নিরপেক্ষ অঞ্চলের দখল তারা নিয়েছে।


গোলান মালভূমিতে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব নিয়ে জাতিসংঘের সম্মতি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলে দখলদারির বিরুদ্ধে পশ্চিমারা নিন্দা জানায়নি।


অন্যদিকে তুরস্ক ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রীড়নক। ওয়াইপিজিকে তারা অস্তিত্বের হুমকি মনে করে। ইসরায়েলের সঙ্গে ওয়াইপিজির যেকোনো ধরনের আঁতাত ইসরায়েল-তুরস্ক সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করবে। সেটা বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত ডেকে আনতে পারে।

 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছেন, ‘গোলান অনন্তকালের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্রের অংশ হবে।’ এই অবস্থান ইসরায়েলের কৌশলগত অবস্থানকে খাটো করে। সিরিয়ার অস্থিতিশীলতার সুবিধা নিয়ে ইসরায়েল তার আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।


ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রাধিকার দিতে গেলে সিরিয়ার গোষ্ঠীগুলোর আগাম পরাজয় ঘটতে পারে। সেখানে নতুন বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। ফলে দেশ গঠন প্রচেষ্টা থেকে থেকে সিরিয়ানদের মনোযোগ সরে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েলই লাভবান হয়। ইসরায়েল চায় একটা সিরিয়া যেন বিভক্ত থাকে। কেননা, সিরিয়া বিভক্ত হলে দেশটি আর ইসরায়েলের নিরাপত্তার ওপর কোনো হুমকি ফেলতে পারবে না। ইসরায়েলের পরভূমি দখলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষার ওপরেও বাধা আসবে না।


সিরিয়ানদের জন্য এই বিভাজন নিষ্ঠুর এক ধাঁধা। দেশ পুনর্গঠনের জন্য তাদের স্থিতিশীলতার দিকেই সব মনোযোগ দেওয়া দরকার। কিন্তু সিরিয়া বিদেশি শক্তির দখলে থাকলে জনগণের একটা বড় অংশই বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করাটাকেই তাদের মূল দায়িত্ব হিসাবে নেবে।


ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সংহতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।


ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি গোষ্ঠী দ্য পিপলস প্রটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজে) নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুররুদ্ধার করার প্রচেষ্টা খাটো হবে।


এ ছাড়া ইসরায়েল শুধু সামরিক স্থাপনায় আক্রমণ করছে না। গোয়েন্দা আর্কাইভও তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। ইসরায়েলসহ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আসাদ সরকারের সম্পর্কের দলিলগুলো এতে ধ্বংস হয়ে গেছে।


রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আসাদ সরকার ও ইসরায়েলের মধ্য গোপন চুক্তি হয়েছিল। আসাদের পতনের পর সেই নথি ফাঁস হয়েছে।


ইসরায়েলের কর্মকর্তারা খোলাখুলিভাবে কুর্দিদের ওয়াইচিজি-এর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার কথা বলেছেন। ওয়াইচিজি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী। পিকেকেকে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে।


ইসরায়েলের এই অবস্থান আঞ্চলিক বিরোধের সঙ্গে সিরিয়াকে গভীরভাবে যুক্ত করে দেবে। বিশেষ করে তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধে সিরিয়াকেও জড়িয়ে পড়তে হবে। এ ছাড়া সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিভক্তি আরও গভীর হবে।


ওয়াইপিজি এর আগে আসাদ সরকার, ইরান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন খেলোয়াড়দের সঙ্গে আঁতাতের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। তারা এখন সিরিয়ায় ইসরায়েলের কৌশল পূরণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।


কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি ইসরায়েলের সমর্থনের উদ্দেশ্য হচ্ছে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দুর্বল করা।  

অন্যদিকে তুরস্ক ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। ওয়াইপিজিকে তারা অস্তিত্বের হুমকি মনে করে। ইসরায়েলের সঙ্গে ওয়াইপিজির যেকোনো ধরনের আঁতাত ইসরায়েল-তুরস্ক সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করবে। সেটা বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত ডেকে আনতে পারে।


এই ধরনের উত্তেজনা সিরিয়াকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে। আঞ্চলিক শক্তিগুলো সেই বিশৃঙ্খলাকে সুযোগ হিসাবে নিয়ে তাদের এজেন্ডা নিয়ে সেখানে হাজির হতে পারে।


  • আলি বাকির, ইবনে খালদুন সেন্টার ফর হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোসাল সায়েন্সেস-এর সহযোগী অধ্যাপক
    মিডলইস্ট আই থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

ভারতের মুরাদাবাদে গরু জবাইয়ের অভিযোগে মুসলিম যুবক নিহত

 ভারতের মুরাদাবাদে গরু জবাইয়ের অভিযোগে মুসলিম যুবক নিহত....



ভারতের মুরাদাবাদে গরু জবাইয়ের অভিযোগ তুলে এক মুসলিম যুবককে লাঠি, রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ শাহেদিন কুরেশি (৩৭)। এলাকাবাসীর হামলার শিকার হয়ে সোমবার রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর মুসলিম প্রধান এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মৃত্যুর বিবরণ

মুরাদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার রণ বিজয় সিং জানান, গুরুতর আহত শাহেদিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে ১২টার সময় তার মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।

ঘটনার বিবরণ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সোমবার বিকেলে মণ্ডী সমিতি এলাকায় শাহেদিন ও তার সঙ্গীদের গরু জবাই করার অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে জনতা ভিড় জমায়। তার সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও, শাহেদিনকে আটকে রেখে তাকে গালিগালাজ ও নির্মমভাবে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে একটি মৃত গরু পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

আইনি পদক্ষেপ
মজহোলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে শাহেদিনের ওপর হামলার ঘটনায় তার ভাই মোহাম্মদ শাহজাদের অভিযোগে একটি হত্যা মামলা (আইপিসি ধারা ৩০২) দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, গরু জবাইয়ের অভিযোগে শাহেদিন ও তার সঙ্গীর বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার তার সঙ্গী মোহাম্মদ আদনানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পারিবারিক তথ্য
শাহেদিন ছিলেন একজন বডিবিল্ডার, যিনি একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তিনি স্ত্রী রিজওয়ানা ও তিন সন্তান—আরাম (১৩), আশি (১১), এবং ইবজান (৯)—সহ আসলতপুর এলাকায় বাস করতেন।

স্ত্রীর মন্তব্য
শাহেদিনের স্ত্রী রিজওয়ানা বলেন, “একটি পশুর মৃত্যু নিয়ে কারো জীবন নেওয়ার অধিকার তাদের নেই। তারা কারা, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিলো? যা ঘটেছে, তা নৃশংস এবং অন্যায়।”

ভিডিও প্রকাশ
হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় শাহেদিনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর ঘটনাটি আরও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।